হতাশা নিয়ে উপকূলে ফিরছে জেলেরা

Admin
2 Min Read
ফিশিং ট্রলার

সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কক্সবাজার উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলারগুলো। এরই মধ্যে উপকূলে নোঙর করেছে শত শত ট্রলার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা, বৈরি আবহাওয়ার প্রভাব ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে টিকে থাকতে এই আইনের সংশোধন আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন জেলেরা। 

মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে, তাই তাদের ঠেকাতে সাগরে নজরদারি বাড়ানো দরকার। 

দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও মাছের বংশবিস্তারে সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে আজ। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে বঙ্গোপসাগরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলারে প্রতিবছর ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয় পরে ২০১৯ সালে সব ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। শুরু থেকেই জেলেরা এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করলেও মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে সামুদ্রিক মাছের পরিমাণ বাড়ছে তবে জেলেদের এই সময়টাতে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) সকালে বাঁকখালী নদীস্থ ফিশারিঘাটসহ আশেপাশের এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা, তাই সাগরে মাছ শিকার না করে একের পর এক ট্রলার ফিরছে উপকূলে। এসব ট্রলার নোঙর করছে বাঁকখালী নদীর তীরে। তবে আগত জেলেদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ। কারণ অনেক জেলেরই ঋণের বোঝা মাথায়। জেলেদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার সময় খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধিসহ আর্থিক সহায়তা প্রদানের।

Share this Article
Leave a comment